vo aa.e ghar meñ hamāre ḳhudā kī qudrat hai
kabhī ham un ko kabhī apne ghar ko dekhte haiñ
[That she has come to my home, is God's divinity
At times I look at her face, at times my home I see]
বসন্তের শেষ দুপুর, সোনাগলা রোদ্দুর চুঁয়ে চুঁয়ে পরে; আর সবুজ ঘাসের মাথায় যেন মধু এসে জমে ।মুক্তোর হারের মতো তার ওপর ছড়িয়ে থাকে সাদা-সাদা ফুল। এই মৃদু হাওয়ায় এক উদাসী গন্ধ ভাসে - নেশাতুর চোখ লাল হয়ে যায়। পোষাকী নাম পলেন ইনফেকশন। আসলে বসন্তের হাওয়ায় এক মায়াবী গন্ধ ওড়ে। আগুনে পলাশ গুঁড়ো-গুঁড়ো আবির ওড়ায় হাওয়ায়, চোখে বুঝি আজ জয়-বাংলা হল। শেষ বসন্তের হাওয়ায় কেমন মন খারাপ করে - সেই সব ঝড়ে যাওয়া আমের মুকুলের জন্য বুঝি ! ওই কোকিল জানে আমার সব মনের কথা - সব না ফোটা ফুলের যাতনা। আমার আঙিনায় বুঝি আজ সব বসন্তরা ভীড় করে ফেরে।
শেষ দুপুর যে কখন বিকেল হয়ে যায়, বোঝবার জো নেই । বইয়ের পাতায় ততক্ষনে ছায়া জমছে। রোদ্দুর ও ঢলে পড়েছে সন্ধ্যের গায়ে, একটি- দুটি করে তারা ক্রমে ফুটে উঠছে। সন্ধ্যাতারা আসে, ঠিক মধ্যমনিটি যেন।দলছুট পাখিটিও ফিরে আসে ঠিক। সন্ধ্যা শাঁখ ততক্ষনে মনের মনিকোঠায় । তারাদের ক্ষীণ আলোয় ঠিক সন্ধ্যে এসে জমে - একটু একটু করে কুয়াশার মতো যেন। আমার আঙিনায় আরো একটি দিন শেষ হয়, এ জীবনের মতো।
আমার উঠোনে এক প্রাগৈতিহাসিক চাঁদ। দমকা ফুলের বুনো গন্ধ আর জমাট বাঁধা প্রাচীন অন্ধকার। সেই অন্ধকারে আলোর ফুলকির মতো জোনাকি - চাঁদের আলো চুরি করে আবির খেলে। আজ ওদের দোল পূর্ণিমা। ওই বুঝি ন্যাড়াপোড়া, তুবড়ির মতো জ্বলে উঠলো। নিস্তব্ধ পৃথিবীতে ঝিঁ -ঝিঁ পোকাদের সিম্ফনি, ঠিক যেন মোজার্টের সুর। আমার আঙিনায় আবারো একটি রাত জমে ওঠে, তারপর পূর্ণিমার চাঁদ ঢলে পরে মেঘেদের গায়ে। ওই অন্ধকার আকাশ ভেঙে বৃষ্টির মতো তারাদের আলো। সমগ্র ছায়াপথ জ্বলে, এক মায়াবী রূপকথার আহ্বান যেন । ধাঁধিয়ে যায় চোখ।
আমার এ আঙিনায় মহাবিশ্ব খেলা করে। লুটিয়ে দেবে বলে প্রাণ, শুধু প্রেমের অপেক্ষায়।

No comments:
Post a Comment